বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টিতে সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। সেই লক্ষ্যেই ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ নামের একটি সামাজিক আন্দোলন সম্প্রতি একটি গণপদযাত্রার আয়োজন করে। তবে এই পদযাত্রাটি সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হতে পারেনি, কারণ পথে পুলিশ বাধা প্রদান করার পাশাপাশি লাঠিপেটা করে অংশগ্রহণকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।
পদযাত্রার উদ্দেশ্য ছিল সমাজে ধর্ষণ, যৌন সহিংসতা এবং নির্যাতনের বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করা। এসব অপরাধ প্রতিরোধে শক্তিশালী আইন, কার্যকর বিচারব্যবস্থা এবং উদ্যমী সংস্কার আনার প্রয়োজনীয়তার প্রতি মনোনিবেশ করতে চেয়েছিল তারা। অংশগ্রহণকারীরা এমন একটি সমাজ গঠনের আহ্বান জানাতে চেয়েছিল, যেখানে নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
আয়োজকদের মতে, পূর্বনির্ধারিত সময় এবং পথ ধরে শুরুর পর ব্যাপক প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে পদযাত্রাটি এগোতে থাকে। প্ল্যাকার্ড ও ব্যানারে তারা শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের বার্তা প্রদর্শন করতে থাকেন। তবে একটি নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছানোর পর পুলিশ পুরো পথ বাধা দিয়ে আটকে দেয়। যদিও আয়োজকেরা আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপথে পদযাত্রা এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন, কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পদক্ষেপ নিতেই তাদের সিদ্ধান্তে অনড় ছিল।
বাধার মধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় দানা বাধে উত্তেজনা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পুলিশ শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণকারীদের আন্দোলনে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে থাকে। শেষমেশ পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে, যার ফলে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হন। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবি থেকে জানা যায়, পরিস্থিতি কতটা গুরুতর আকার ধারণ করেছিল, এবং তৎক্ষণাৎ সরিয়ে নেওয়া আহতদের স্থাানীয় বাসিন্দা বা অন্য আন্দোলনকারীরা সহযোগিতা করেন।
পুলিশের এমন কার্যকলাপ নিয়ে জাতীয় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়ার শুর হওয়ার ঘটনাও ছিল তাৎক্ষণিক। মানবাধিকার সংগঠন ও বিভিন্ন প্রাবন্ধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা এই নিপীড়নের কড়া সমালোচনা করে বলেছিলেন