১. পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট: মুদ্রার রেকর্ড অবমূল্যায়ন
পাকিস্তানের অর্থনীতি এখন গভীর সংকটের মুখে। দেশটির মুদ্রা পাকিস্তানি রুপির মান ডলারের বিপরীতে দ্রুত কমছে, যা একটি নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে। এর ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের এই অর্থনৈতিক সংকটের পেছনে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস, মুদ্রাস্ফীতি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণ পেতে দেরি হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে ব্যয় সংকোচন এবং কর বৃদ্ধি। তবে এই পদক্ষেপগুলো কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
২. ভারতের চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্য: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ঐতিহাসিক অবতরণ
ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO) চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে অবতরণ করিয়েছে। এটি মহাকাশ গবেষণায় একটি যুগান্তকারী ঘটনা। ভারত বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করল।
চন্দ্রযান-৩ এর এই সাফল্য ভারতের মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় খুলে দিয়েছে। এই মিশনের মাধ্যমে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর বিভিন্ন অজানা তথ্য জানা যাবে, যা ভবিষ্যতে চাঁদে মানববসতি স্থাপনের পথ প্রশস্ত করবে।
বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, চন্দ্রযান-৩ এর মাধ্যমে চাঁদের ভূ-তত্ত্ব, খনিজ সম্পদ এবং পানির অস্তিত্ব সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।
৩. রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধ: বাখমুত শহরের দখল
ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই রাশিয়ার সৈন্যরা বাখমুত শহর দখল করে নিয়েছে। এটি রাশিয়ার জন্য একটি কৌশলগত জয়, যা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে তাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।
বাখমুত শহরের দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ এবং রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এই যুদ্ধে উভয় পক্ষেরই প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রাশিয়ার এই সাফল্য ইউক্রেন যুদ্ধের গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ইউক্রেনীয় বাহিনী এখনও প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে এবং তারা বাখমুত পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে।
৪. ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামাজিক মাধ্যমে প্রত্যাবর্তন: ট্রুথ সোশ্যালে ফেরা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তার নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলের ঘটনার পর তাকে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
ট্রাম্পের এই প্রত্যাবর্তন মার্কিন রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। ট্রাম্প তার এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার চালাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ট্রাম্পের এই প্রত্যাবর্তন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর নীতি এবং বাকস্বাধীনতার সীমা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক
সৃষ্টি করেছে।