বিশ্ব রাজনীতির অঙ্গনে চলমান উত্তেজনার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে একটি স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন, যদি রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকর না করে, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করতে পারে। এই হুঁশিয়ারি বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং ইউক্রেন সংকটের সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
পটভূমি: ইউক্রেন সংকট
ইউক্রেন সংকট শুরু হয় ২০১৪ সালে, যখন রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করে নেয় এবং পূর্ব ইউক্রেনে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলিকে সমর্থন দিতে শুরু করে। এরপর থেকে এই অঞ্চলে সংঘাত চলমান রয়েছে, যা হাজার হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এবং লক্ষাধিক মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ আক্রমণ শুরু করে, যা বিশ্বজুড়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।
এই সংঘাত শুধুমাত্র ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং এটি গোটা বিশ্বের জন্য একটি বড় ধরনের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউক্রেনকে সমর্থন দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং NATO-এর সদস্য দেশগুলি রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে, এই নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়া তার সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
#WATCH वाशिंगटन, डीसी: अमेरिकी राष्ट्रपति डोनाल्ड ट्रम्प ने कहा, "अगर वे (रूस और यूक्रेन) समझौता नहीं करना चाहते हैं। हम वहां से निकल चुके हैं। हम चाहते हैं कि वे समझौता कर लें और मैं मौत को रोकने के लिए ऐसा कर रहा हूं...मैंने पिछले हफ़्ते या उससे भी ज़्यादा समय तक देखा कि यूरोप… pic.twitter.com/m6adBKk1Yp
— ANI_HindiNews (@AHindinews) March 7, 2025
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি
এই পরিস্থিতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী, তিনি পুতিনকে একটি স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন, "যদি রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকর না করে এবং তাদের আক্রমণাত্মক নীতি থেকে সরে না আসে, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করবে।"
ট্রাম্পের এই বক্তব্য রাশিয়ার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। রাশিয়া ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার কারণে অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। যদি আরও কঠোর অবরোধ আরোপ করা হয়, তবে রাশিয়ার অর্থনীতি আরও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে, যা দেশটির অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। আরো বিস্তারিত জানতে.....