🚨 #BREAKING: Justin Trudeau has just announced a retaliatory 25% tariff on American
goods
— Nick Sortor (@nicksortor) February 2, 2025
America has SEVERAL states with larger economies than the entire country of Canada
You’re about to FAFO, Little Castro. You will not win this. pic.twitter.com/hh5bmgCKoK
কানাডা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত ৩০ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারের পণ্যের উপর ২৫% প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করেছে, যা গত ৪ মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছে। এটি ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যান্য শুল্কের প্রতিক্রিয়া হিসেবে নেওয়া হয়েছে, যার কিছু অংশ এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
কানাডা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত ২৯.৮ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার (১৯ বিলিয়ন ইউরো) মূল্যের পণ্যের উপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করবে। এটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২৫% ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম শুল্কের প্রতিক্রিয়া, যা বুধবার থেকে কার্যকর হয়েছে।
কানাডার নতুন শুল্ক ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্য, কম্পিউটার, স্পোর্টস ইকুইপমেন্ট এবং ওয়াটার হিটারের মতো মার্কিন পণ্যের উপর আরোপ করা হবে, যার মূল্য ১৪.২ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার (৯ বিলিয়ন ইউরো)।
কানাডার অর্থমন্ত্রী ডোমিনিক লেব্লাঙ্ক বলেছেন, "আমাদের আইকনিক ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম শিল্পকে অন্যায়ভাবে টার্গেট করা হচ্ছে, আমরা এতে নিষ্ক্রিয়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকব না।"
কানাডার নতুন শুল্কগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত ৩০ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারের পণ্যের উপর ২৫% প্রতিশোধমূলক শুল্কের অতিরিক্ত, যা গত ৪ মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছে। এটি ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যান্য শুল্কের প্রতিক্রিয়া হিসেবে নেওয়া হয়েছে, যার কিছু অংশ এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
ট্রাম্প ২০১৮ সালের ধাতব শুল্ক থেকে সমস্ত ছাড় প্রত্যাহার করেছেন, পাশাপাশি অ্যালুমিনিয়ামের শুল্ক ১০% থেকে বাড়িয়েছেন। ফেব্রুয়ারির একটি নির্দেশিকার ভিত্তিতে তার এই পদক্ষেপ গ্লোবাল বাণিজ্যকে ব্যাহত ও রূপান্তর করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ।
ওটাওয়া থেকে ব্রাসেলস পর্যন্ত সহযোগিতার আহ্বান
মার্কিন প্রেসিডেন্ট কানাডা, মেক্সিকো এবং চীনের উপর পৃথক শুল্ক আরোপ করেছেন, এবং ২ এপ্রিল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্যের উপর "পারস্পরিক" হারে শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করেছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বুধবার তার নিজস্ব প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেয়েন বলেছেন, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২৮ বিলিয়ন ডলারের শুল্ক আরোপ করছে, আমরা ২৬ বিলিয়ন ইউরোর প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছি।" এই পদক্ষেপগুলি শুধুমাত্র ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্যের উপরই নয়, বরং টেক্সটাইল, গৃহস্থালি যন্ত্রপাতি এবং কৃষি পণ্যের উপরও প্রযোজ্য হবে। এটি দুটি পর্যায়ে কার্যকর হবে, প্রথম পর্যায় শুরু হবে ১ এপ্রিল থেকে।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি তার ইউরোপীয় সহকর্মীদেরকে শুল্ক "দূর করতে একসাথে কাজ করার" এবং "আমেরিকানদেরকে তাদের নির্বাচিত কর্মকর্তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে উৎসাহিত করার" আহ্বান জানিয়েছেন।
এই পদক্ষেপগুলি গ্লোবাল বাণিজ্য যুদ্ধের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে, যেখানে বিভিন্ন দেশ তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, এই ধরনের পদক্ষেপ বিশ্ব অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং বাণিজ্য সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে পারে।
কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে শক্তিশালী এবং পারস্পরিক সুবিধাজনক ছিল। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে এই সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। কানাডা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদারগুলির মধ্যে একটি, এবং উভয় দেশই একে অপরের উপর অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল।
এই শুল্ক যুদ্ধের ফলে উভয় দেশের ব্যবসায়ী এবং ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। শুল্ক বৃদ্ধির ফলে পণ্যের দাম বাড়তে পারে, যা ভোক্তাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। এছাড়া, ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের প্রতিযোগিতামূলকতা হারাতে পারেন, যা বাণিজ্য হ্রাসের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন যে, এই সংঘাত সমাধানের জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা এবং সমঝোতা অপরিহার্য। কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই NAFTA (নর্থ আমেরিকান ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট) এর সদস্য, এবং এই চুক্তির আওতায় তাদের বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ন্ত্রিত হয়। তবে ট্রাম্প প্রশাসন এই চুক্তি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে, যা কানাডা এবং মেক্সিকোর সাথে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
এই পরিস্থিতিতে কানাডা তার বাণিজ্য অংশীদারদের সাথে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন এবং অন্যান্য দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে কানাডা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর তার নির্ভরতা কমাতে চাইছে।
শুল্ক যুদ্ধের প্রভাব শুধুমাত্র কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি গ্লোবাল বাণিজ্য ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতে পারে এবং অন্যান্য দেশগুলিকেও প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে বিশ্ব অর্থনীতি অস্থিতিশীল হয়ে পড়তে পারে, যা সকলের জন্যই ক্ষতিকর।
কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই বাণিজ্য সংঘাত সমাধানের জন্য উভয় পক্ষেরই সংযম এবং দূরদর্শিতার পরিচয় দেওয়া প্রয়োজন। বাণিজ্য যুদ্ধের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, বরং এটি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। উভয় দেশের নেতৃত্বের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ, এবং তারা কীভাবে এই সংকট মোকাবেলা করেন তা ভবিষ্যতের বাণিজ্য সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই সংঘাতের প্রেক্ষিতে কানাডা তার অভ্যন্তরীণ শিল্পকে রক্ষা এবং শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। সরকার ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম শিল্পকে সহায়তা প্রদান করছে, এবং নতুন বাজার সন্ধানের জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে। এছাড়া, কানাডা তার অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিনিয়োগ করছে, যাতে তারা বিদেশী পণ্যের উপর নির্ভরতা কমাতে পারে।
শেষ পর্যন্ত, এই বাণিজ্য সংঘাতের সমাধান উভয় পক্ষের ইচ্ছা এবং সহযোগিতার উপর নির্ভর করবে। কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই একে অপরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার, এবং তাদের মধ্যে সুস্থ ও স্থিতিশীল বাণিজ্য সম্পর্ক বজায় রাখা সকলের জন্যই মঙ্গলজনক। আশা করা যায় যে, উভয় পক্ষ এই সংঘাত সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে এবং ভবিষ্যতে একসাথে কাজ করবে।